গাইবান্ধায় পাওয়ার প্রকল্পের অর্জন ও শিখন সমন্বয় কর্মশালা বুধবার গাইবান্ধা সদরের রাধাকৃঞ্চপুরে এসকেএস ইন্- হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসকেএস ফাউন্ডেশন ও এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ যৌথভাবে (Promoting Opportuniy of Women Empowerment and Rights (POWER)’ দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে।
এসকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো: আবদুল মতিন। ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবীর, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ড দুতাবাস এর সিনিয়র পলিসি এ্যাডভাইজার এসআর এইচআর জেন্ডার স্পেশালিস্ট মুশফিকা জাহান সাতিয়ার।
কর্মশালায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মাহফুজা খানম মিতা। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ সাউথ এশিয়া এ্যাডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর হেলাল উদ্দিন, এসকেএস ফাউন্ডেশনের পাবলিকেশন পরিচালক যোসেফ হাওলাদার, ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সহকারী পরিচালক খন্দকার জাহিদ সরোয়ার ও পলাশ কুমার কুন্ডু, ফুলছড়ি উপজেলা নারী ফেডারেশনের সভাপতি বিথী বেগম, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নারী ফেডারেশনের সভাপতি মিনারা বেগম, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, সাংবাদিক এস এম বিপ্লব ইসলাম, ফুলছড়ি প্রেসক্লাবের সম্পাদক শাহ আলম যাদু, পাওয়া প্রকল্প ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এসকেএস ফাউন্ডেশনের পাবলিকেশন সমন্বয়কারী আশরাফুল আলম।
প্রধান অতিথি মো: আবদুল মতিন বলেন, এখন যদি পুরুষ কাজ করে, নারীরা যদি বসে বসে থাকে দেশের কি উন্নয়ন হবে, কখনই হবে না। এখন নারীরাও কাজ করে, পুরুষরাও কাজ করে একারণে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। এই প্রজেক্টটা অনেক ভালো লেগেছে। আর নারীদের নিয়ে পাওয়ার প্রজেষ্ট অসাধারণ কাজ করেছে। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমরা বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখতে চাই না, আমরা উন্নত বিশে^র স্বপ্ন দেখি। সরকার সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে।
এসকেএস ফাউÐেশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ লিটন নেদারল্যান্ড সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নারীদের উন্নয়নে এ্যাকশন এইড ও এসকেএস ফাউন্ডেশন সরকারের সাথে সহযোগি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। পাওয়ার প্রকল্পটি এসডিজি অর্জনেও কাজ করছে।
উল্লেখ্য: পাওয়া প্রজেক্ট লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৫টি এবং গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে কাজ করছে।