গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মথরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়ম দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার আশ্রয় গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
অনিয়মের প্রতিকারসহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে নির্বাচিত একজন সদস্য শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করে সুচিন্তিত মতামত দাখিলের জন্য সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, উক্ত মথর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে এডহক কমিটির অধিনে গত ১১ মে/২০২২খ্রি: নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এডহক কমিটি এবং প্রধান শিক্ষক দাতা সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যালয় এলাকায় নোটিশ টাঙ্গানো অথবা মাইকিং করার কথা। প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ও এডহক কমটির সদস্যদের যোগ স্বাজসে নিজেদের ইচ্ছামত অতি গোপনে নিয়ম বর্হিভূতভাবে শাহজাহান সরকার নামে জনৈক ব্যক্তিকে খন্ডকালীন দাতা সদস্য নির্বাচিত করেন এবং তাকে সভাপতি করে অবৈধ উপায়ে পূণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন।
বিষয়টি স্থানীয় ভাবে প্রকাশ পাওয়ার পর এলাকায় সচেতন মহলে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। পরে নির্বাচনে বিজয়ী সদস্য জাকির হোসেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার কথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অবৈধ উপায়ে দাতা সদস্য নিয়োগ ও কমিটি গঠন করা হয়নি। নিয়ম মেনেই দাতা সদস্য নিয়োগ এবং কমিটি গঠন করা হয়েছে।