গত এক সপ্তাহ থেকে অবিরাম ভারী বর্ষন ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই ৭’শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নিমজ্জিত হয়েছে পাট ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত । এছাড়া উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর বিভিন্ন চরে বন্যার পানি উঠেছে।গত কয়েক দিনের ঘন ঘন প্রবল বর্ষনে উপজেলার নিম্নাঞ্চলসমূহ পানিতে টইটুম্বুর হলেও এখন তা বড় বন্যায় রুপ নেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চরাঞ্চলের নিমজ্জিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তা নদীর চরাঞ্চল তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দার চর, তারাপুর চর, বেলকা ইউনিয়নের বেলকার চর, পঞ্চানন্দ, জিগাবাড়ী, বেলকা নবাবগঞ্জ, হরিপুর ইউনিয়নের লখিয়ারপাড়া, চরহরিপুর ও মাদারীপাড়া, পাড়াসাদুয়া, চরিতাবাড়ী, কানিচরিতাবাড়ী, উজান তেওড়া, কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার, কাজিয়ার চর, বাদামের চরের ফসল কোথাও আংশিক, কোথাও পুরোপুরি ডুবে গেছে। চরাঞ্চল ছাড়াও উচু এলাকার অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে উঠতি সবজি ক্ষেতের। অনেক সবজি ক্ষেত নুুয়ে পড়েছে মাটিতে। মরে যাচ্ছে মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, করলাসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। চরাঞ্চলের কৃষকরা নির্ভরশীল বেশি সবজি ক্ষেতের উপর। ঘন ঘন বর্ষনে সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছে। এখন পরিবারের ভরণ-পোষণ চালানোর চিন্তায় চরের কৃষকরা দিশেহারা। এদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উচু এলাকায় ঢুকে পড়ছে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিফ মন্ডল জানান, এখন পর্যন্ত ৬৫০ পরিবার পানিবন্দী হয়েছে।