ব্যাপক অনিয়মের কারণে গত অক্টোবরে বন্ধ করে দেওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) উপনির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। ঢাকায় বসে সেই ভোট কেমন হচ্ছে তা সকাল থেকে দেখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে অন্য কমিশনাররা। প্রথমবারের ভোটে যেখানে ভোট কেন্দ্র ও বুথে অযাচিত লোকজনের উপস্থিতি সিসি ক্যামেরায় দেখে একে একে পুরো ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, ইসি বলছে এবারের চিত্র ভিন্ন। তাদের ভাষায় উপনির্বাচনে কেন্দ্রে ‘ডাকাত’দের দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার (০৪ জানুয়ারি) সকাল আটটায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে সাড়ে চারটা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের পঞ্চম তলায় ইসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমানও ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন। কমিশন বলছে, ব্যাপক কড়াকড়ি আর নজরদারির মধ্যে বুধবার সেখানে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। আগেরবারের মতোই ঢাকা থেকে সিসি ক্যামেরায় ১৪৫টি কেন্দ্রের পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশনাররা।
১২ অক্টোবরের ভোটের দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটা। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন। গোপন কক্ষে (অন্য লোক) ঢুকছে, সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে না। … ইভিএমের কোনো দোষ নেই। একই রঙের পোশাক পরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এসব করছে। এটা সুশৃঙ্খল ভোটের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। তবে এবার ভোটের চিত্র নিয়ে কমিশনার রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেছেন, কেন্দ্রে ভোট ডাকাত নেই। আমরা গতবারের মতো এ পর্যন্ত মাঠে ডাকাত দেখিনি। ভোটাররা সুন্দরভাবে পরিচিতি শনাক্ত হওয়ার পর গোপন বুথে যাচ্ছেন, ব্যালট ইউনিটে নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন। ওখানে অন্য লোকের ভোট দেওয়ার বিষয়টি এখনও আমাদের চোখে পড়েনি।