1. admin3@gonomanuserkhobor.com : Admin3 :
  2. smbipplob88@gmail.com : Masud Mukul : Masud Mukul
  3. newsbipplob2014@gmail.com : এস এম বিপ্লব ইসলাম : এস এম বিপ্লব ইসলাম
ধীর গতিতে চলছে গাইবান্ধার যমুনা নদীর তীর সংরক্ষন প্রকল্পের কাজ
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

ধীর গতিতে চলছে গাইবান্ধার যমুনা নদীর তীর সংরক্ষন প্রকল্পের কাজ

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩
  • ১৮ বার পঠিত

ধীর গতিতে চলছে গাইবান্ধার যমুনা নদীর স্থায়ী তীর সংরক্ষন প্রকল্পের কাজ। ১০ কিলোমিটার প্রকল্পের অধিকাংশ পয়েন্টে বন্ধ রয়েছে কাজ আর যেসব পয়েন্টে কাজ চলছে তাও খুব ধীর গতিতে। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে আকস্মিক বন্যায় ফসল ও আবাদি জমির ক্ষয়ক্ষতিসহ ব্যাপক ভাঙ্গনের আশংকা করছে স্থানীয়রা।

জানা যায়, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধানের জন্য গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি থেকে সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দি ও হলদিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

প্রকল্পের ১০ কিলোমিটার অংশে ৩৮টি প্যাকেজে ৩৮টি পয়েন্টে ৭শ ৯৮ কোটি টাকা ব্যায় ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে নভেম্বর মাঘ পর্যন্ত এসব পয়েন্টে পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজ শুরুর প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হলেও কিছু পয়েন্টে ব্লক ও জিওব্যাগ ফেলা ছাড়া তেমন কোন অগ্রগতি করতে পারেনি ঠিকাদাররা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অধিক্ংাশ পয়েন্টে শুধু জিও ব্যাগ ফেলে ও খোড়াখুড়ি করে কাজ বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা। যেসব জিওব্যাগ এখনি নদীতে ধ্বসে পড়ছে। আর যে কয়টি পয়েন্টে ব্লকের কাজ চলছে তাও অত্যান্ত ধীর গতিতে ও নিম্মমানের। স্থানীয় বালি ও নিম্মমানের পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব ব্লক। বিশেষ করে হলদিয়া ইউনিয়নের ৬ কিলোমিটার অংশের অবস্থা বেশী নাজুক।

সেই সাথে বাধের নিচ থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে নির্মানাধীন বাধটি। কবে নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চতা। ফলে আসন্ন বর্ষায় নদী ভাঙন ও আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ার আশংখা করছে নদী তীরবর্তী মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক জানান, কাজের মান ঠিক রাখতে ও গতি বাড়াতে ঠিকাদারদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন এবং আসন্ন বর্ষার আগেই ভাঙ্গন মোকাবেলার কাজ করা হবে জানিয়ে, সেই সাথে আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ২০ শতাংস। বসতভিটা ও ফসলী জমি রক্ষায় প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | গণ মানুষের খবর

Theme Customized BY LatestNews