যুক্তরাষ্ট্রে পতন ঘটা সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) কিনে নিয়েছে ফার্স্ট সিটিজেন্স ব্যাংক অ্যান্ড ট্রাস্ট। সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি) এ ঘোষণা দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এফডিআইসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসভিবির সব ডিপোজিট ও ঋণের দায়িত্বগ্রহণ সংক্রান্ত পারচেজ অ্যান্ড অ্যাসাম্পশন চুক্তিতে সই করেছে ফার্স্ট সিটিজেন্স। ফলে ২৭ মার্চ (সোমবার) থেকে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ১৭টি শাখার সবক’টিই চালু হচ্ছে ফার্স্ট সিটিজেন্স ব্যাংকের নামে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতে মারাত্মক অস্থিরতার মধ্যে গত ১০ মার্চ স্টার্টআপ ব্যবসায় শীর্ষ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। সেসময় ব্যাংকটির মোট সম্পদ ছিল ১৬৭ বিলিয়ন ডলারের এবং মোট ডিপোজিট বা আমানত ছিল ১১৯ বিলিয়ন ডলারের মতো।
এফডিআইসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রয় চুক্তির আওতায় ১৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ৭২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ অধিগ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তা ও অন্যান্য খাতের ৯০ বিলিয়ন ডলার সম্পদ থাকবে এফডিআইসির হাতে। এই চুক্তির সম্ভাব্য মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
এফডিআইসি জানিয়েছে, পতিত সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ডিপোজিটর বা আমানতদাররা এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফার্স্ট সিটিজেন্স ব্যাংকের আমানতদার হয়ে যাবেন। তাদের আমানত জমা বা গ্রহণ প্রক্রিয়া দেখভাল করবে এফডিআইসি। রয়টার্স জানিয়েছে, বিপর্যস্ত সিলিকন ভ্যালি ব্যাংককে কিনে নেয়া ফার্স্ট সিটিজেন্স ব্যাংকের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১০৯ বিলিয়ন ডলার এবং তাদের মোট আমানত আছে ৮৯ বিলিয়ন ডলারের মতো।
সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের দুদিন পর নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংকও বন্ধ করে দেয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শীর্ষ ঋণদাতা সিগনেচার ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ এখন এফডিআইসির হাতে। নিউইয়র্কের আর্থিক সেবা দপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরের শেষান্তে সিগনেচার ব্যাংকের ১১০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার সম্পদ এবং ৮৮ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার আমানত (ডিপোজিট) ছিল। তবে এই ব্যাংকটির বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য জানা যায়নি।
প্রকাশিত খবর অনুসারে, ২০০৮ সালের পর এই মার্চেই সবচেয়ে বড় ধসের কবলে পড়ল মার্কিন ব্যাংকিং খাত। এর আগে ২০০৮ সালে কয়েকটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর ব্যাংকিং কোম্পানি ওয়াশিংটন মিউচুয়াল বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন এর সম্পদমূল্য ছিল ৩০৭ বিলিয়ন ডলার। তার আগে ওই বছরের আগস্টে ইন্ডি ম্যাক নামে আরও একটি ব্যাংকিং কোম্পানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।