ঝড়বৃষ্টির বদলে কাঠফাটা রোদ। গলদঘর্ম অবস্থা সকলেরই। পানি খেয়েও মিটছে না তেষ্টা। শুধু পানি খেতে ভাল না লাগলেও শরীরে পানির ঘাটতি রাখা যাবে না।
রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এই সময়ে শরীরে পানির ঘাটতি হওয়া স্বাভাবিক। সেখান থেকে নানা রকম শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু অনেকেরই পানির স্বাদ ভাল লাগে না। তাই পানি খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পানি খেতে ভাল না লাগলেও এ সময়ে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর পানীয় বা পানির পরিমাণ বেশি আছে, এমন খাবার খাওয়া জরুরি। এ দিকে, বাড়ির বাইরে থাকলে অনেকেই পানি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়।
এর ফলে শুধু ডিহাইড্রেশন নয়, অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েও জটিলতা বেড়ে যেতে পারে। তাই পানি খেতে ভাল না লাগলেও এই আবহাওয়ায় শারীরিক সমস্যা এড়াতে শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না।
শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে কী কী করবেন?
১) পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে মোবাইল ফোনে ‘রিমাইন্ডার’ দিয়ে রাখতে পারেন। বাড়ির বাইরে যেখানেই যান, সঙ্গে পানির বোতল নিয়ে বেরোনোই ভাল।
২) পানি খেতে ভাল না লাগলে ওআরএস বা ডাবের জল, ঘোল, লেবুর রস-লবন-চিনির শরবত খাওয়া দরকার।
৩) পানিশূন্যতা থেকে বাঁচতে, তেষ্টা না পেলেও পানি খেতে হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে অনেক সময়েই তেষ্টা অনুভব করা যায় না। সে ক্ষেত্রে পানি খাওয়ার কথা মনে করানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪) পানির স্বাদ ভাল না লাগলে পানির মধ্যে পুদিনা, তুলসী, লেবু বা অন্যান্য ফলের টুকরো ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন।
৫) ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে পানির পরিমাণ বেশি এমন শাকসব্জি বা ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।