উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে কেউ জেতেনি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ১-১ গোলে ড্র হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যান সিটির ম্যাচ। প্রথমার্ধে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে লিড নিয়েছিল লস ব্লাঙ্কোস। শেষটায় সিটিজেনদের হয়ে সমতায় ফেরান কেভিন ডি ব্রুইনা।
ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে সেমিইনালের প্রথম লেগে সমানে সমান রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যান সিটি। ম্যাচের ফল অন্তত তাই বলে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এগিয়ে থাকা হলো না লস ব্লাঙ্কোদের। এখন সব উত্তর নিয়ে অপেক্ষায় ইতিহাদ।
টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে স্প্যানিশ জায়ান্টদের বিপক্ষে নেমেছিল ম্যান সিটি। আক্রমণাত্বক কেভিন ডি ব্রুইনা, আর্লিং হালান্ড, রদ্রিরা। তবে থিবো কোর্তোয়ার কল্যাণে তাদের প্রচেষ্টাগুলো সফল হয়নি। বিপরীতমুখী রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম চেষ্টাতেই বাজিমাত। কামাভিঙ্গার পাস পূর্ণতা দেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ডি বক্সের বাইরে থেকে তার এমন গোল ফুটবল প্রেমীদের চোখের প্রশান্তি। মৌসুমে রিয়াল জার্সিতে ২৩ গোল ব্রাজিলিয়ান তারকার।
প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যেতে মরিয়া পেপ গার্দিওয়ালা শীষ্যরা। কেভিন ডি ব্রুইনা, হালান্ডদের শটে বাধা হয়ে দাড়িয়েছেন কোর্তোয়া, দাভিদ আলাবারা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। একক নৈপুণ্যে ম্যাচে সমতা টানেন কেভিন ডি ব্রুইনা। টানা ৩ আসরে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে স্কোর শিটে নাম লেখালেন বেলিজয়ান মিডফিল্ডার।
এরপরের গল্পটা শুধুই লস ব্লাঙ্কোদের। টনি ক্রুস, বেনজেমাদের আক্রমণগুলো থেমেছে সিটিজেন গোলরকক্ষক এদেরসনে এসে। এদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের সমান সবচেয়ে বেশি ১৯০ ম্যাচ ডাগআউটে থাকার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি।