গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার পদুম শহর ইউনিয়নের বাদিয়াখালী সদর থানার অন্তর্ভুক্ত।দুই থানার মিলন মেলা ষ্টেশন বাদিয়াখালী বাজার নূরুলগঞ্জ হাট। এই হাটে প্রতিদিনেই হাজারো মানুষের যাতায়াত। ও সেই সাথে বাদিয়াখালী হাই স্কুল এন্ড কলেজ ও ষ্টেশন বাদিয়াখালী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ৫০% ছাত্র /ছাত্রী যাতায়াত। এই রাস্তাটির এখন বেহাল অবস্থা। বাদিয়াখালী রেল ষ্টেশনে ট্রেনের জন্য অনেক যাত্রীর আগমনও ঘটে ব্যস্ততম এই রাস্তাটি দিয়ে।
স্বাধীনতার পর থেকে পায়ে হেটে চলাচল করত দুই গ্রামের মানুষ।দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে পারি দেওয়া মানুষ গুলোর ভাগ্যে জোটে রাস্তাটি। ২০১৫ সালের শেষের দিকে গাইবান্ধা-২ আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ জনাব মাহাবুব আরা বেগম গিনি ও গাইবান্ধা-৫ এর সংসদ সদস্য ডেপুটি স্পিকার জনাব মোঃ ফজলে রাব্বি মিয়া এমপির প্রচেষ্টায় বহুল প্রত্যাশিত এই রাস্তাটি তৈরি হয়।
দুঃখের বিষয় ২০১৯ সালে ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাটি অসংখ্য যায়গায় ভেঙে যায়।এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে কিছুটা ভ্যান ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
কিন্তুু কিছু অসাধু প্রভাব শালীদের বালুর ব্যবসার জন্য ট্রলি ও কাকড়া চলাচলে রাস্তাটি এখন চলাচলের অনুপোযোগী। নিত্য নতুন দূর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি পুনরায় মেরামত করার কোন উদ্দ্যোগ ইতিমধ্যে চোখে পড়ে নাই।হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।এখন বর্ষাকাল একটু বৃষ্টি হলেই যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
অভিভাবকহীনে পরিনত রাস্তাটির অবস্থা দিন দিন আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ফলে পদুম শহর মিয়াবাড়ী রেলগেটের ব্যবসায়ী লিমন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের রেলগেটে সবধরনের যান পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা কিছু যুবক উদ্দ্যোগ নিয়ে চাদা তুলে ইট সিমেন্ট দিয়ে রেলগেট পারাপারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কিন্তু ট্রলি ভটভটি কাকড়া যাতায়াতের কারনে রাস্তাটির নাজেহাল অবস্থা অনতিবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না হলে আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থা শেষ হয়ে যাবে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন আমাদের প্রানের দাবি অনেক কষ্টে পাওয়া রাস্তাটি যেন দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়।