গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় গরু-বাছুরের শরীরে সংক্রমিত হচ্ছে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ (এলএসডি) নামের ভাইরাস। সম্প্রতি এ ভাইরাসটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গরুর মালিকরা।
সরেজমিনে শুক্রবার (৩ জুলাই) সকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার বড় জামালপুর গ্রামের একাধিক বাড়িতে দেখা যায়, এলএসডি ভাইরাস আক্রান্ত গরু-বাছরগুলো। এসময় মালিকরা চরম হতাশ হয়ে আক্রান্ত গরু-বাছুরের সেবা যত্ন করছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এলএসডি ভাইরাসটি ধীরে ধীরে বিস্তাার হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশী জাতের শতশত গরু-বাছুর এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।
বড় জামালপুর গ্রামের খামারি রুবেল মিয়া, অদু মিয়া ও কদম আলী জানায়, আক্রান্ত গরু-বাছুর সুস্থ করতে চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে লাখ লাখ টাকা মূল্যের গরু-বাছুরের প্রাণহানীর আশঙ্কায় ভুগতে হচ্ছে।
এ রোগের লক্ষণ সম্পর্কে স্থানীয় পশু চিকিৎসক শাহারুল ইসলাম বলেন, প্রথম আক্রান্ত প্রাণির জ্বর, ব্যথা ও খাবার অরুচি হয়। এরপর শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলে যাওয়াসহ মুখ দিয়ে লালা পড়তে শুরু করে। এতে করে গরুটি দুর্বল হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, মশা-মাছি থেকে এ রোগটি ছড়ায় এবং সংক্রমিত গরুর লালা, দুধ, চোখ বা নাকের পানির মাধ্যমে ভাইরাস বিস্তাার ঘটে। যার চিকিৎসা দিলে সুস্থ হয়ে যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৬২ টি গরু-বাছুর এলএসডি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় । এরই মধ্যে ৩১ টি গরু সুস্থ হয়েছে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক বলেন, ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ (এলএসডি) নামের এই ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে লিফলেট বিতরণসহ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। এ রোগে গরুর মৃত্যুর ঝুঁকি খুবই কম। এ নিয়ে গরু মালিকদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। চিকিৎসা নিলেই গরু সুস্থ হয়।