গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ভাষারপাড়া গ্রামে ৪র্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ওই মেয়েটিকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম ভাষারপাড়া গ্রামের হেলাল খন্দকার (৩৫) ও সদর উপজেলার বাগুড়িয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৪০) একই সঙ্গে মাছের ব্যবসা করতো। সেই সুবাদে আবুল কালাম আজাদ মাঝে মধ্যে হেলালের বাড়িতে আসা-যাওয়া করার সুবাধে তার মেয়ে সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে (১৩) কু-প্রস্তাব ও টাকার লোভ লালসা দেখাইতো।
এক পর্যায়ে গত সোমবার আনুমানিক রাত ১১টার দিকে মেয়েটির বাবা হেলাল খন্দকার বাড়িতে এসে দেখে তার মেয়ে নেই। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজির একপর্যায়ে বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে ধান ক্ষেতে টর্চলাইট জ্বালালে মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এসময় আবুল কালাম আজাদ (৪০) দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি তার বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে ফুলছড়ি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি থানার ওসি কাওছার আলী বলেন, ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলা গ্রহণের পর মেয়েটিকে গাইবান্ধা জেলা হাতপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।