ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গত দু’দিনে সূর্য্যি মামার দেখা মেলেনি।ফলে উপজেলা শহর ও গ্রাম-গঞ্জের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষ চলাচল অনেকটাই কমে গেছে।হাতে কাজ না থাকায় অভাবি মানুষের ঘরে খাদ্যাভাব ও শীবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্ররা চরম কষ্টে জীবন যাপন করছে।
গত শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত দিনভর কুয়াশাছন্ন ছিল।সন্ধ্যার পর থেকে এর ঘনত্ব আরো বেড়ে যায় ।রাত ১০টার পর ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যায় পুরো এলাকা।ফলে উপজেলা শহরের বাস ষ্ট্যান্ড,অটো ষ্ট্যান্ড সহ কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলো মর্হুতেই জনশুন্য হয়ে পড়ে।শুক্রবারের তুলনায় ভোর বেলাতেই সারা এলাকায় ঘন কুয়াশা ও শীত আরো তীব্র হয়।ফলে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় শহর ও গ্রামাঞ্চল।ফুটপাতের সবজি, মাছ, ফলমূল ও শীতের কাপড় ব্যবসায়ীরা বেচাঁকেনা না থাকায় তারা সন্ধ্যা হতে না হতেই দোকান গুটিয়ে বন্ধ করে বাড়ী চলে যায়।রিক্সা, অটো, সিএনজি চালকরা ভাড়ার আশায় না থেকে বাড়ী চলে যায়।
উপজেলার সবার্নন্দ ইউনিয়নের অটো চালক আলম মিয়া ও পৌরসভার রিক্সা চালক হাবীব মিয়া বলেন, গতদিন গুলোর থেকে এ ক’দিন অটোরিক্সা চালিয়েছি কিন্তু আজকে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে অটোরিক্সা চালানো সম্ভব হয়নি। এভাবে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত থাকলে হয়তো আমরা উপার্জন করতে পারবো না। তার ফলে হয়তো পরিবার সহ অনাহারে অধার্হারে থাকতে হবে। অন্যদিকে আলম মিয়া বলেন,ঘন কুয়াশা থাকলে রাস্তায় অটো চালানো খুব কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়ায় দু’হাত জায়গা দেখা যায় না এমনকি সড়ক দূর্ঘটনা ও ঘটতে পারে।
ঘনকুয়াশাতে ও জীবনের ঝুকি নিয়ে পরিবারের মানুষগুলোর মুখে দুবেলা দুমুঠো ডাল ভাত মুখে তুলে দেয়ার জন্য অটো চালাতে হয়।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, তীব্র শীতে বিশেষ করে ছোট শিশুদের উপর প্রভাব বেশি পরে। এ সময়ে ডায়েরিয়া, শ্বাসকস্ট, নিউমোনিয়াসহ শীত জনিত বিভিন্ন রোগ দেখা যায়।